প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায়
হলুদ ব্যবহার হয়। ঔষধি গুণের কারণে মসলাজাতীয় এ পণ্যের ব্যবহার বহুমুখী।
বিশেষত প্রদাহনাশক হিসেবে এর কার্যকারিতা অব্যর্থ; ব্যবহার হয় রূপচর্চায়ও।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ও
ষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা নিরাময়ে হলুদ বেশ
কার্যকর। খবর সায়েন্স ডেইলি।
হলুদের এ গুণের তথ্য উঠে এসেছে
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে। সম্প্রতি বিশ্ব
যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে এ-বিষয়ক গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়,
ভারতে প্রায় সব খাবারে হলুদ ব্যবহার করা হয় এবং ধারণা করা হয়, এতে
প্রদাহনাশক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সারবিনাশী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের কারকিউমিন উপাদান ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা
মোকাবেলায় সাহায্য করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা দেখেছেন,
কারকিউমিন মানবদেহের প্রতিরোধ কোষ (ম্যাক্রোফেজেস) উদ্দীপ্ত করে
মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিসকে সফলভাবে সরিয়ে দেয়। এটিই মূলত যক্ষ্মার
জন্য দায়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে সেলুলার অণুর কার্যকারিতার ওপর, যা ফ্যাক্টর কাপ্পা
বি নামে পরিচিত। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিসের বিরুদ্ধে কারকিউমিনের
কার্যকারিতা চিকিত্সায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এটি ওষুধ
প্রতিরোধী যক্ষ্মার ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
গবেষণা দলের প্রধান ড.
জিউয়ান বাও বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন মানবদেহে
মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিসের ক্ষত প্রতিরোধ করে। কারকিউমিনের
প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার
ক্ষেত্রে এটি অব্যর্থ দাওয়াই হিসেবে উঠে আসতে পারে।’
0 comments:
Post a Comment